Skip to main content

Posts

Showing posts from May, 2025

দ্য গার্ল হু লেপ্ট থ্রু টাইম - ইয়াশুতাকা শুতশুই । The Girl Who Leapt Through Time by Yasutaka Tsutsui [ Toki Wo Kakeru Shoujo ]

ইয়াশুতাকা শুতশুই এর জনপ্রিয় একটি উপন্যাস "The Girl Who Leapt Through Time". এই নামে একটি Anime-ও আছে৷ এই বইটির বাংলা অনুবাদ বের করেছে প্রিমিয়াম পাবলিকেশন৷ অনুবাদক এ.এস.এম রাহাত। অনুবাদক শুরুতেই একটা বড়ো ভুল করে ফেলেছেন। আগে সেটুকু আলাপ করি, এরপর বইয়ের আলাপে ফিরছি। পৃষ্ঠা নং ০৫, অনুবাদকের কথায় অনুবাদ বলেছেন বইটির ক্যাটাগরি থ্রিলার৷ থ্রিলার তার পছন্দের জনরা৷ তবে মজার ব্যাপার হলো বইটার জনরা থ্রিলার না৷ বরং সাইফাই৷ সাইফাই থ্রিলার বললেও কিছুটা মানা যেতো৷ শুধু থ্রিলার দ্বারা যা বোঝায়, আদতে এই বই তেমন নয়৷ এই বইকে রোম্যান্টিক বললেও মানা যায়৷ তবে থ্রিলার কোনো ক্রমেই মানা যায় না৷ গল্পটা কাজুকোর৷ একটা মেয়ে৷ একদিন স্কুলের লাইব্রেরিতে একটা ছায়া দেখতে পায়৷ কালো ছায়াটির পিছু নিয়ে সামনে এগোয়। হঠাৎ ল্যাভেন্ডারের ঘ্রাণ পায়। এরপর থেকেই অদ্ভুত সব কাণ্ড ঘটে। আচমকা অনুধাবন করতে পারে সে একদিন পেছনে ফিরে গিয়েছে। যা কিছু ঘটবে তা সে আগে থেকেই জানে৷ অর্থাৎ সে বর্তমান থেকে একদিন পেছনে টাইম ট্রাভেলের মতো করেছে৷ সে ভাবলো এটা মনে হয় তার মাঝে থাকা কোনো বিশেষ শক্তি। তবে আদতে কি তাই? উহু! তাহলে? কালো ছায়াটি...

মমতাদি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় । Momotadi by Manik Bandopadhyay

  "কেউ যা দেয় না, তুমি তা দেবে কেন?" বাক্যটির কথা সকলেরই মনে থাকার কথা৷ লাইনটুকু পড়েই খিলখিল করে হেসে উঠতো সবাই। সে হাসি দুষ্টু হাসি। ক্লাসের অন্য কোনো স্মৃতি কারও মনে না থাকলেও মমতাদিকে মনে হয়না কেউ ভুলেছে৷ মমতাদিকে ঘিরেইতো ছিলো বাংলা ক্লাসে হাসাহাসির আয়োজন। অন্তত সেই বাঙলা ক্লাসের স্মৃতিকে আগলে রাখায় মমতাদির একটি ধন্যবাদ প্রাপ্য। এখানে শিক্ষার্থীদের দোষ দিয়েও লাভ নেই। গল্পটার আংশিক ছিলো সে বইয়ে৷ মূলটুকুই দেয়া হয়েছিলো বাদ৷ ফলে মমতাদি ঠিক কেমন তা বুঝে ওঠা হয়নি কারোরই৷ তবে ক্লাসে জানা হয়নি বলে আর জানা হবে না, তা কিন্তু নয়। বেনজিন প্রকাশন কর্তৃক প্রকাশিত "মমতাদি" বইটি পড়লেই জানা যায় কে এই মমতাদি৷ বইটিতে স্থান পেয়েছে দুইটি গল্প৷ একটি "মমতাদি" এবং অপরটি "বৃহত্তর মহত্তর।" মমতাদির দু:খের জীবন যাপনের বিষয়টি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে প্রথম গল্পে৷ যেনো গ্রাম বাংলার সংসারের নিত্যদিনের রূপ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় চিত্রায়িত করেছেন রঙ-তুলিতে। এত দূর্দশা অত্যাচারের পরেও স্বামীর প্রতি ভালোবাসার কথা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই গল্পে৷ "বৃহত্তর মহত্তর" গল্পে আবার একই মমতা...

কল্কেকাশি সমগ্র - শিবরাম চক্রবর্তী । Kalkekashi Samagra by Shibram Chakrabarty

গোয়েন্দা হতে হলে গুরুগম্ভীর হতে হবে, বোকামি করা যাবে না, হাসাহাসি করা যাবে না ইত্যাদি কিছু নিয়ম আমরা সেট করে নিয়েছি। সেখানেই ব্যতিক্রমধর্মী এক গোয়েন্দা চরিত্রের সৃষ্টি করেছেন লেখক শিবরাম চক্রবর্তী। যার নাম "কল্কেকাশি।" এই গোয়েন্দা খেতে ভালোবাসে। ভুলভাল যুক্তিতে পটু। করে উদ্ভট কর্মকাণ্ড। কল্কেকাশির এরূপ কর্মকাণ্ড আর শিবরাম সাহেবের রসাত্মক এবং দর্শনমূলক লেখার ফলে কল্কেকাশি স্থান করে নেয় পাঠকদের মনে। কল্কেকাশি মূলত বাংলা গোয়েন্দা জনরার শুরুর দিকের গোয়েন্দা৷ কল্কেকাশির মোট ৫টি গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে কল্কেকাশি সমগ্র৷ গল্পগুলো হলো - টিকটিকির ল্যাজের দিক, কল্কেকাশির কাণ্ড, ইতর বিশেষ, সূত্র, কল্কেকাশির অবাক কাণ্ড৷ বেনজিন প্রকাশন কর্তৃক প্রকাশিত হয়েছে বইটি। এবং এটিকে তারা স্থান দিয়েছেন "রহস্য-রোমাঞ্চ" সিরিজে৷ এই সিরিজের সাথে এই বইটি একদমই মানানসই না৷ অবশ্য এ-ব্যাপারে শুরুতেই প্রকাশক মহোদয় বিস্তারিত বলে দিয়েছেন৷ তবে আমার মনে হয়, এই সিরিজে এই বইটি না রাখাই বেটার৷ কেননা এর ফলে বেনজিনের এই সিরিজের প্রতি পাঠকদের বিরূপ ধারণা আসতেই পারে৷ বইটি সেরা কোনো গোয়েন্দার বই না। বরং রম্যের বই ...

হত্যাকারী কে? পাচকড়ি দে । Who is the murderer? by Pachkori dey

  কে বলেছে আগের গোয়েন্দা উপন্যাস গুলোতে থ্রিল থাকে না? পাঠককে মাতিয়ে রাখতে পারে না? বাংলা ভাষায় গোয়েন্দা উপন্যাস জনরার শুরুর আমলে যারা লিখতেন তাদের মধ্যে "পাঁচকড়ি দে" অন্যতম। তারই এক অসাধারণ সৃষ্টি "হত্যাকারী কে?" উপন্যাসিকাটি৷ এটাকে উপন্যাস বলবো নাকি উপন্যাসিকা বলবো? হবে কিছু একটা৷ সে আলাপে যাবো না। গল্পটা যোগেশের। সে ভালোবাসতো লীলাকে। অথচ লীলার বিয়ে হলো অন্য ছেলের সাথে। তার নাম শশিভূষণ। সে মদ খেয়ে মাতাল হয়ে লীলাকে ভয়াবহ অত্যাচার করে। যোগেশের সহ্য হয় না৷ খারাপ লাগে৷ যোগেশ শশিকে বোঝায় বউকে মারতে নেই। শশি বোঝে৷ কিন্তু মাতাল হয়ে আবার মারে৷ একসকালে লীলার ভাই খবর পাঠায় লীলাকে খুন করেছে শশি৷ পুলিশ গ্রেফতার করেছে৷ শশি আকুতি করে যোগেশের সাথে দেখা করার জন্য। দেখা হলে কান্নাকাটি করে জানায় সে লীলাকে খুন করেনি। যোগেশেরও কেন যেনো তাই মনে হয়। সে নামকরা ডিটেক্টিভ অক্ষয় বাবুকে ভাড়া করেন। অক্ষয় বাবু চিন্তিত হয়ে ভাবেন - "শশি যদি হত্যা না করে থাকে, তাহলে হত্যাকারী কে?" মূল টুইস্ট নিয়মিত থ্রিলার পাঠকরা কিছুক্ষেত্রে ধরতে পারলেও বিভ্রান্ত হয়ে যাবেন। শেষদিকে এমনভাবে টুইস্ট দেয়া...

মিসমিদের কবচ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় । Mismider Koboch by Bivutivushon

  বাংলা সাহিত্যে গোয়েন্দা থ্রিলার জনরা কিন্তু নতুন নয়৷ বরং অনেক আগে থেকেই এই জনরার চর্চা করেছেন সাহিত্যিকগণ৷ পাঁচকড়ি দে, রবীন্দ্রণাথ, প্রিয়ণাথসহ আরও অনেকেই অবদান রেখে গিয়েছেন এ জনরায়৷ গোয়েন্দা জনরায় নিজের চিহ্ন রাখতে ভোলেননি বিভুতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। লিখেছেন মিসমিদের কবচ। মাস্টারপিস বা সেরা না-বলা গেলেও, ভালো চেষ্টা বলা যায়৷ অন্তত সময়কাল হিসেব করলে এই বইকে দূর্দান্ত বলতে হবে। রেগুলার যারা থ্রিলার পড়েন তারা আগেই বুঝে ফেলবেন সবকিছু। তবে আশাহত হওয়ার কিছু নেই৷ কারণ লেখক বিভুতি বাবু নিজের লেখার জাদু মূগ্ধ করবেই। খ্যাতিমান গোয়েন্দা মি.সোমের ছাত্র সুশীল। তার মামার বাড়িতে বেড়াতে গেলে পরিচয় হয় কৃপণ গাঙ্গুলীমশাই এর সাথে। কিছুদিন পর সুশীল জানতে পারে গাঙ্গুলীমশাইকে খুন করা হয়ে। তদন্তের দায় পড়ে সুশীলের উপর। সুশীল তদন্ত শুরু করে৷ কিন্তু হত্যার অনেকদিন পার হয়ে যাওয়ায় তেমন কোনো আলামত পাওয়া যায় না৷ তবুও রাতে খুঁজতে খুঁজতে একটা কবচ পাওয়া যায়৷ খুনের সাথে কী এই কবচের কোনো সংযোগ আছে? এরপর একরাতে সুশীলকে হত্যার চেষ্টা করে কেউ একজন৷ এরকারনই-বা কী? সুশীল থাকাকালীনই এসেছে নতুন গোয়েন্দা। কিন্তু কেন? গল্প ...

স্বামী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় । Husband [Shawami] by Sharatchandra Chattyapadhyay

শরৎচন্দ্রের লেখার মাঝে অনেক শিক্ষা থাকে৷ তবে ঐ শিক্ষা দেয়ার ধরন এত মজাদার, স্বাদযুক্ত যে পাঠক নিজের অজান্তেই পুরোটা গিলে ফেলে৷ এই ধরুন স্বামী বইটির কথা৷ সৌদামিনী চরিত্রটাকে এমনভাবে তৈরি করেছেন যেনো মনে হয় আমিই সৌদামিনী৷ সৌদামিনীই এই গল্পের গল্প কথক৷ শরৎচন্দ্র জাদুমাখা লেখার মাধ্যমে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন বাবা মায়ের পর একজন নারীর আপন হলো তার স্বামী৷ অন্য কেউ না৷ এই একটা বিষয় বোঝানোর জন্য কতরকম উদাহরণ যে ভদ্রলোক টেনেছেন তা বলার বাইরে৷ সৌদামিনীর প্রেম ছিলো, তারপর বিয়ে হলো অন্য কারো সাথে, আগে যেহেতু প্রেম ছিলো তাই স্বামীর প্রতি বিতৃষ্ণা আসে৷ এরপর ধীরে ধীরে যখন স্বামীর প্রতি ভালোবাসা জন্মায় তখন আমার প্রেমিক এসে কাঁদে৷ এরপর সৌদামিনীর কী ঘটে তা জানতে হলে বইটা পড়তে হবে৷ অবশ্য বইয়ে লেখার স্বাদ এতই ভালো যে, পুরো স্পয়লার দিয়ে দিলেও আপনার পড়তে মন চাইবেই। এই গল্পের আড়ালে শরৎ সাহেব নাস্তিকদের নাস্তানাবুদ করেছেন৷ না, কোনো জবাব তিনি দেননি। তবে ট্রল করেছেন মন মতো৷ একজন গ্রাম্য মানুষের চরিত্রে কী যৌক্তিক আলোচনা খাটে? খাটে না বিধায়ই গ্রাম্য ব্যক্তির মতোই নাস্তিককে নিয়ে কটাক্ষ করেছেন শরৎ সাহেব। মূলত সৌদামি...

হারুকি মুরাকামির অদ্ভুত লাইব্রেরি । Strange Library by Haruki Murakami

হারুকি মুরাকামির লেখা মানেই মেটাফোরে ভরা কলসি। একটা সুন্দর গল্প বলে যাবে। গল্প শেষে আবার চিন্তায় ফেলে দেবে গল্পের আসল উদ্দেশ্য কী তা নিয়ে। এত চমৎকার মেটাফোরের সাথে গল্প লিখে যাওয়া বোধহয় মুরাকামির দ্বারাই সম্ভব। একটা ছেলে লাইব্রেরিতে বই পড়তে লাইব্রেরিতে গিয়ে আটকে যায় এক গোপন কক্ষে। যেটা মূলত জেল। সেখানে তাকে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। তাকে সময় দেয়া হয় একমাস। সে জানতে পারে একমাস পরেই তাকে মেরে ফেলা হবে। এরপর তার পরিচয় হয় মেষমানবের সাথে। আরেকটি বোবা মেয়ে। ছেলেটি কী পারবে এখান থেকে বের হয়ে যেতে? গল্পটা যেহেতু মেটাফোরের তাই ঘটনা যে যার মতো ভেবে নিতে পারবে। যাই হোক। এই বইটা প্রিমিয়াম পাবলিকেশনের। অনুবাদ কোয়ালিটি মিডিয়াম। বইয়ের অনেক পৃষ্ঠা জুড়ে ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। যা বিরক্তিকর লেগেছে। অনুবাদ আরেকটু ইম্প্রুভ করা যেতো বলে মনে হয়।

নাজিম উদ দৌলার প্রহেলিকা । Prohelika by Nazim ud doula

  লেখক নাজিম উদ দৌলার সাথে জার্নি শুরু করেছি তার লিখিত "প্রহেলিকা" উপন্যাসিকাটির মাধ্যমে৷ পড়া শেষ৷ একটি থ্রিলার মৌলিক উপন্যাসিকা৷ শহরে বাচ্চাদের লাশ পাওয়া যাচ্ছে। প্রত্যেকের মাথা ইট অথবা পাথর দিয়ে থেতলে দেয়া৷ অবাক করার বিষয় প্রতিটা লাশের পাশেই পাওয়া যাচ্ছে খুনির ব্যবহৃত জিনিসপত্র৷ খুনি কী তবে এতই বোকা? নাকি এর পেছনে আছে অন্য কোনো ঘটনা? থ্রিলার গল্পের মাঝেও লেখক প্রেমের ঘটনা কানেক্ট করেছেন৷ চরিত্রগুলোকে করেছেন সাবলীল। এছাড়া মূল আসামীর আসামী হয়ে ওঠার গল্পও তুলে ধরেছেন লজিকালি। বাঙালি গোয়েন্দা যেভাবে কথা বলে, ঠিক সেভাবেই কথা বলিয়েছেন তিনি। ফ্ল্যাশব্যাকের সাথে গল্পের কানেকশন ভালোই। তবে একটা বিষয় একটু অবাস্তব লেগেছিলো। কাহিনীর টুইস্টগুলো ভালো৷ মজাদার। সাসপেন্সওয়ালা টুইস্ট না হলেও, টুইস্টগুলো মজাদার৷ একেক চরিত্র, একেক বিশেষত্ব, একেক কাহিনী। পুরোটাকে একটা ডটে এনে মিশিয়েছেন নাজিম উদ দৌলা। আর সে ডটটি হলো "ভালোবাসা।" মূল আসামীকে ধরার অনেক আগেই বুঝে যাওয়া যায় আসামীকে। কয়েক লাইনের কথোপকথনে একটু ভালোমতো খেয়াল করলেই বোঝা যায়৷ এছাড়া সেখানে খুনীর একটা দূর্বলতার কথা অনেক বলে দেয়া...

দ্য রেড ফিঙ্গার - কেইগো হিগাশিনো । The Red Finger by Keigo Higashino

  " লাল আঙ্গুল " এর আগে পড়েছিলাম "টোকিওতে একটি হত্যা" বইটি। দুইটার মধ্যে ব্যবধান আকাশ আর পাতাল। গল্পের স্ট্রাকচার দুইটারই আলাদা। আমার বেশি ভালো লেগেছে "লাল আঙ্গুল" তথা "দ্য রেড ফিঙ্গার।" বইটার মধ্যে তুলে ধরা হয়েছে নানান বিষয়। তার মধ্যে অন্যতম মায়ের অতি আহ্লাদী স্বভাবের কারনে সন্তান নষ্ট হয়। বউয়ের শয়তানির ফাঁদে পড়ে স্বামীও শয়তান হয়ে যায়৷ আবার একই সাথে সন্তানের প্রতি মায়ের যত্ন, ভালোবাসা, স্নেহগুলো কেমন হয় তাও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। . সেই সাথে কিয়োচিরো কাগার পারিবারিক আলাপ করা হয়েছে এই বইয়ে৷ একই সাথে ফুটে উঠেছে মাতসুমিয়ার পরিচয়ও। দূর্দান্ত৷ এই বইটা শুরু হয় হত্যাকারীর পরিচয় দিয়ে দেয়ার মাধ্যমে। এরপর ধীরে ধীরে দেখানো হয় দুইটা পার্স্পেক্টিভ৷ কীভাবে গোয়েন্দাদের বোকা বানানোর চেষ্টা করা হয়৷ আবার গোয়েন্দারাও কীভাবে বোকা না হয়ে উলটো ফাঁদে ফেলেন সেসব বিষয়৷ খুনির পরিচয় দেয়া হলেও পুরো বই জুড়ে সাসপেন্স আর সাসপেন্স। কী হয় নাহয়, গোয়েন্দারা আদৌ সমীকরণ মেলাতে পারবে কিনা ইত্যাদি নানান বিষয়৷ এই বইটা আমার পড়া সেরা বইগুলোর মধ্যে একটি।

নতুন সংগ্রহ

  অল্প দামে বেশি বই পেলে সবাই আনন্দিত হয়৷ আমিও হই। বেনজিন প্রকাশনের অফারে বেশ কিছু বই বুক করে রাখি বইবাহনের মাধ্যমে৷ আজ বাংলাবাজার থেকে সেই বইগুলোই কালেক্ট করি। একই সাথে প্রিমিয়াম পাবলিকেশন থেকে প্রকাশিত কিছু বইও সংগ্রহে নিয়ে আসি৷ সবমিলিয়ে মোট ১১টি বই আজ নিজের জিম্মায় নিয়ে নেই৷ বইগুলোর তালিকা নিম্নে উল্লেখ করছি৷ বেনজিন প্রকাশন --------------------------- ১/ কারমিল্লা - জোসেফ শেরিড্যান লে ফানু (অনুবাদ - লুৎফুল কায়সার) ২/ স্বামী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ৩/ মমতাদি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ৪/ মিসমিদের কবচ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ৫/ গোয়েন্দা কল্কেকাশি সমগ্র - শিবরাম চক্রবর্তী ৬/ মসলার যুদ্ধ - সত্যেন সেন প্রিমিয়াম পাবলিকেশন ---------------------------------- ১/ প্রহেলিকা - নাজিম উদ দৌলা ২/ কুহেলিকা - নাজিম উদ দৌলা ৩/ অদ্ভুত পাঠাগার - হারুকি মুরাকামি ৪/ বনলতা সেন - জীবনানন্দ দাস ৫/ দ্য গার্ল হু লেপ্ট থ্রু টাইম - ইয়াশুতাকা শুতশুই বইগুলোর রিভিউ কবে নাগাদ দেবো নিশ্চিত না। অনেকগুলো রিভিউ জমে আছে৷ নানা ঝামেলায় ভিডিও করা হচ্ছে না৷ রিভিউ না দিলেও সংক্ষেপে নিজের অভিমত লিখে জানাবো ইংশাআল্লাহ৷

কবির কষ্ট

 আমার কেন যেন মনে হয় কবিরা দুঃখ পোষেন । তাদের ভীষণ যন্ত্রণা হয় । এই যন্ত্রণা এতটাই তীব্র যে তারা আর্তনাদের ভাষা হিসেবে কবিতাকে ব্যবহার করেন । এর জ্বলন্ত উদাহরণ প্রয়াত কবি হেলাল হাফিজ । হেলেনকে হারিয়ে বেচারা হাফিজ কবিতা লিখতে শুরু করেন । কবিতার মাঝে আর্তনাদ এতই তীব্র ছিলো যে তাতে হেলেন অবধি আক্রান্ত হন ।  কবিরা যখন কবিতা লেখে তখন বোধহয় তাদের স্মৃতির পাতার কোনো এক গল্প তাদের মনে পড়ে । যে গল্প তাদের অন্তরকে আক্রান্ত করে । দাবানল হয়ে ঝলসে দেয় তাদের হৃদয় ।  এসব মনে হলেই তাদের চোখ ছলছল করে ওঠে । কখনো হয়তো মন চায় ফুপিয়ে কান্না করতে । কিন্তু তা সম্ভব হয় না । তাই দুঃখগুলোকে মিশিয়ে ফেলেন শব্দে ,বাক্যে । এরপর রচনা করেন কবিতা । যে কবিতা ছেয়ে যায় পাঠকের মনে । যে বিষাদ আক্রান্ত করে কবিতা প্রেমীকে । আমার মনে হয় কবিরা যে সুখি ভাব ধরেন তা মিথ্যে । তারা হয়তো বোঝানোর চেষ্টা করে যে , দেখো আমি সুখি । বাস্তবে তারা খুব দু;খী । যতটা দুঃখী হয় নীল তিমি ।

কবি ও বাস্তবতা

 মানুষ ব্লগে কী লেখে আমি তা জানিনা । জানার কথাও না । ব্লগ খোলার কারন একটা সিভিতে ওয়েবসাইটের লিংক দিতে হবে এজন্য ।  ব্লগকে অনেকটা ডায়েরির মতো লাগে । ওপেন ডায়েরি । যে ডায়েরি বাইরে পরে থাকলেও কেউ খুলে দেখে না । অথচ হুট করে এক কৌতুহলী কেউ ডায়েরিটা হাতে নেয় । নিয়ে পড়ে । কী কী লেখা তা দেখে বোঝার চেষ্টা করে । কখনো দুঃখে ডুবে যায় , আবার কখনো অট্টহাসিতে মেতে ওঠে । এরপর লেখকের সম্পর্কে একটা ধারণা জন্ম নেয় তার মাঝে । কিছুসময় পাঠক রচয়িতাকে ভাবতে থাকে । এরপর ধীরে ধীরে ভুলে যেতে থাকে । একসময় তিনি ভুলে যান ডায়েরির কথা । ডায়েরিটা আবারও পূর্বের মতো পড়ে থাকে । তাকে কেউ আর খুলে না । ধুলোবালি জমে। প্রতিটা মানুষের জীবনে নানা রকম গল্প থাকে । আমারও আছে । সে গল্প আমি চাইলে লিখে রাখতে পারি এখানে । অথবা কিছু দুঃখের কথা লিখতে পারি । লিখতে পারি কতটুকু স্মৃতির বোঝা নিয়ে এখনো জীবিত আমি । কষ্টের কথাগুলোকে লিখে রাখতে পারি এখানে । কিন্তু তাতে লাভ কী? একজন মানুষ আমার দুঃখের কথাগুলো পড়বে এটা কেমন না? দুঃখের কথা শোনার অধিকার শুধুমাত্র প্রিয়তমার । এ বাদে আর কেউ এই কথা পড়ার মানে নিজের কোনো মূল্য না রাখা । আমার কবি...

মিসির আলি আপনি কোথায়? Misir Ali where are you?

মিসির আলি হুমায়ূন আহমেদের এক দূর্দান্ত চরিত্র । ভদ্রলোকের কাজ সকল বিষয়ের লজিকাল ব্যাখ্যা দাঁড় করানো । তিনি এতে বেশ সফল । যারা মিসির আলিকে চেনে তারা জানে সকল অতিপ্রাকৃতিক , ভূতুড়ে সহ অস্বাভাবিক ঘটনার লজিকাল ব্যাখ্যা দিয়ে থাকেন তিনি । তবে মিসির আলিও কিছু ঘটনার ব্যাখ্যা হয়তো দিতে পারেন না ।  আজ পড়ে শেষ করেছি হুমায়ূন আহমেদ লিখিত মিসির আলি আপনি কোথায়  ? বইটি এখানকার ঘটনা হলো আয়নার জগত নিয়ে । মিসির আলি দেখলেন এই ঘটনার ব্যাখ্যা তিনি করতে পারছেন না । তার করা পরিক্ষার ফলাফল এলো তার বিপক্ষে । এরপর মিসির আলি ঢাকায় ফেরেন ।  কিছুদিন পর মিসির আলি জানতে পারেন, যারা ঐ আয়না ঘটনার সাথে সম্পর্কিত ছিলো তারা গায়েব । মিসির আলি আয়না কিনে ঘরে আনলেন । তার ধারণা কোনো একদিন ঐ দুজনকে দেখা যাবে আয়নায় । কেননা তিনি পরামর্শ দিয়েছিলেন যে , ঐ দুজনকে একত্রে থাকতে হবে প্রয়োজনে আয়নার জগতে গিয়ে থাকতে হবে । তবুও থাকতেই হবে । আমি একটু চিন্তিত । আমার ধারণা মিসির আলি কোনো কেইসই অসমাপ্ত রাখেন না । এই কেইসটিও রাখেন নি । হয়তো তিনি এই সমীকরণেরও সমাধান রেখেছেন যা আমি বুঝতে পারছি না । হুমায়ূন আহমেদ অনেক বিষয় এত সহজেই ল...

পুফি । হুমায়ূন আহমেদ

বইটা কেনার আগে নাম তেমন শুনিনি। সত্য বলতে খুঁজিও-নি। হুমায়ূন আহমেদের কিছু যেমন আকাশ ছোঁয়া জনপ্রিয়তা পেয়েছে, তেমনি কিছু বই আবার আন্ডাররেটেড৷ অবশ্য হুমায়ূন আহমেদ যতগুলো বই লিখেছেন সবগুলো পড়ে মতামত জানানো হয়তো সকলের জন্য সম্ভব না৷ তাই কিছু বই থেকে যায় আড়ালে। "পুফি" বইটি ঠিক তেমন একটি বই। প্রচ্ছদ আর নাম দেখে ভেবেছিলাম শিশুতোষ কোনো উপন্যাস৷ বইয়ের ভেতরে নিজের নাম লিখে রেখেছে মুনতাকা। বাচ্চাসুলভ হাতের লেখা। তাই আমি শতভাগ নিশ্চিত হয়ে গেলাম বইটা শিশুতোষই। এরপর বই পড়া শুরু। শুরুতেই হুমায়ূন আহমেদের সতর্ক বার্তায় চোখ গেলো। সেখানে যা লেখা তার সারাংশ হলো, "বইটি বাচ্চাদের থেকে একশ' হাত দূরে রাখুন। এটা বাচ্চাদের বই না৷ বইয়ের কভার দেখেই বাচ্চাদের বই ভেবেছেন৷ আপনি আসলে মগা৷ কারন আপনি হুমায়ূনের দেয়া নামকে আক্ষরিক অর্থেই বিশ্বাস করেন।" গল্পটা একটা বিড়ালকে নিয়ে। তার নাম "পুফি"৷ এই পুফিকে উপহার হিসেবে পায় অনিকা৷ তার খুব পছন্দ এই বিড়াল। বিড়ালটাও বেশ সভ্য। অনিকার বাবার নাম জোয়ার্দার। জোয়ার্দারের বিড়াল অপছন্দ৷ শুধু বিড়াল না, যেকোনো পশু-পাখি তার অপছন্দ৷ কারন তিনি যখন ছোট তখন এক...