বাংলা সাহিত্যে গোয়েন্দা থ্রিলার জনরা কিন্তু নতুন নয়৷ বরং অনেক আগে থেকেই এই জনরার চর্চা করেছেন সাহিত্যিকগণ৷ পাঁচকড়ি দে, রবীন্দ্রণাথ, প্রিয়ণাথসহ আরও অনেকেই অবদান রেখে গিয়েছেন এ জনরায়৷
গোয়েন্দা জনরায় নিজের চিহ্ন রাখতে ভোলেননি বিভুতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। লিখেছেন মিসমিদের কবচ। মাস্টারপিস বা সেরা না-বলা গেলেও, ভালো চেষ্টা বলা যায়৷ অন্তত সময়কাল হিসেব করলে এই বইকে দূর্দান্ত বলতে হবে। রেগুলার যারা থ্রিলার পড়েন তারা আগেই বুঝে ফেলবেন সবকিছু। তবে আশাহত হওয়ার কিছু নেই৷ কারণ লেখক বিভুতি বাবু নিজের লেখার জাদু মূগ্ধ করবেই।খ্যাতিমান গোয়েন্দা মি.সোমের ছাত্র সুশীল। তার মামার বাড়িতে বেড়াতে গেলে পরিচয় হয় কৃপণ গাঙ্গুলীমশাই এর সাথে। কিছুদিন পর সুশীল জানতে পারে গাঙ্গুলীমশাইকে খুন করা হয়ে। তদন্তের দায় পড়ে সুশীলের উপর। সুশীল তদন্ত শুরু করে৷ কিন্তু হত্যার অনেকদিন পার হয়ে যাওয়ায় তেমন কোনো আলামত পাওয়া যায় না৷ তবুও রাতে খুঁজতে খুঁজতে একটা কবচ পাওয়া যায়৷ খুনের সাথে কী এই কবচের কোনো সংযোগ আছে? এরপর একরাতে সুশীলকে হত্যার চেষ্টা করে কেউ একজন৷ এরকারনই-বা কী? সুশীল থাকাকালীনই এসেছে নতুন গোয়েন্দা। কিন্তু কেন?
গল্প মজাদার। তবে আমার কাছে মনে হয় খুনের সাথে কবচের সম্পৃক্ততা লেখক পুরোপুরি ফুটিয়ে তুলতে পারেননি। যদিও সন্দেহের সাথে সংযোগ করেছেন বেশ ভালোভাবেই৷ মনে হয়েছে কিশোরদের জন্য এই উপন্যাসটি বেশ উপযোগী৷
Comments
Post a Comment