Skip to main content

About Me

  আমি নাঈম, নাঈম খন্দকার৷ এই চমৎকার নামটি রেখেছিলেন আব্বা৷ বড়ো হলাম৷ জানলাম আমার আকিকা তখনো হয়নি। তাই আকিকা হবার আগে বহুবার নাম বদলানোর সুযোগ আছে। এজন্য নাম বদলে রাখলাম নাঈমুর রহমান৷ এর অর্থ দাঁড়ালো “দয়াময়ের স্বচ্ছ বান্দা”। কিছুদিন পর আর এই নাম ভালো লাগলো না৷ তাই এখন কেউ নাম জিজ্ঞেস করলে বলি আমার নাম “রুম্মান”। যার অর্থ “ডালিম”।

আমি লেখি৷ যে লেখায় থাকে বানান ভুল, বাক্যগঠনে ভুল, নিয়মনীতির ভুল৷ লেখা শেষ হলে দেখি, এগুলো লেখা হয়নি, হয়েছে এক পলি আবর্জনা৷ তবে লেখা থামাই না৷ বরং আবর্জনার স্তুপ আরও বড়ো করি৷
আমি বই পড়ি। ব্যস্ততা কিংবা অবসর, যেকোনো সময়েই বই পড়তে ভালো লাগে৷ পড়া শেষে রিভিউ করি। সেই রিভিউ রেকর্ড করি আট মেগাপিক্সেল এর ফ্রন্ট ক্যামেরায়৷ রেকর্ড শেষে দেখি, আমাকে কালো দেখায়।
সব রিভিউগুলোর হিসেব থাকা দরকার। কারণ আমি সহজেই সব ভুলে যাই। এছাড়া কেউ যদি জানতে চায় আমার রিভিউ করা বই কোনগুলো, তবে একটা লিস্ট দিতে পারলে সুবিধে হয়৷ তাই পাক্কা নিয়ত করেছি সব রিভিউ লিংক এখানে দিয়ে রাখবো। কারো প্রয়োজন হলে যেনো এক ক্লিকেই দেখে নিতে পারে। তবে যারা নিগা তথা কালো মানুষ দেখলে ভয় পান, তাদের লিংকে চাপ না দেওয়ার অনুরোধ৷
আমার রিভিউতে স্পয়লার থাকে না৷ রেটিং থাকে না৷ বইয়ের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা থাকে৷ আমার করা সকল রিভিউর লিংক দিচ্ছি, সেইসাথে যুক্ত করে দিচ্ছি রকমারি এবং ওয়াফিলাইফসহ প্রকাশনীতে আমাকে ফিচার করা ভিডিও-র লিংকও।
|| রকমারি ||
|| ওয়াফি লাইফ ||
ফিচার - ১ :
|| প্রকাশনী ফিচার ||
নতুন বিন্যাস - ১ https://www.facebook.com/share/v/17SUBukvp6/
নতুন বিন্যাস - ২
|| রিভিউ সমূহ ||
১/ পীরে কামেল {অনুমোদিত অনুবাদ} । উমেরা আহমেদ । সাদমান সিদ্দীক
২/ অবিনশ্বর | সাজ্জাদ সিয়াম | ঋদ্ধ
৩/ জান এ গালিব | ইনামুল্লাহ খা নাসির | ঐতিহ্য
৪/ মারিয়ার ব্লাউজ | বুলবুল সরোয়ার | ঐতিহ্য
৫/ চাঁদের পাহাড় | বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় | প্রিমিয়াম পাবলিকেশন
৬/ আদর্শ হিন্দু হোটেল | বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় | প্রিমিয়াম পাবলিকেশন
৭/ ইন্দুবালা ভাতের হোটেল | কল্লোল লাহিড়ী | সুপ্রকাশ
৮/ তিন গোয়েন্দা - বিষাক্ত অর্কিড | কেন সেরা?
৯/ শাপমোচন | ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায় | প্রিমিয়াম পাবলিকেশন
১০/ ভূতের বাচ্চা জাফর ই বাল | কবি সাহেব | নতুন বিন্যাস
১১/ মুসলমানের ছেলে | হাসান রোবায়েত | ঐতিহ্য
১২/ হোমো স্যাপিয়েন্স | ডা. রাফান আহমেদ
১৩/ ডোপামিন ডিটক্স | থিবো মরিস
১৪/ পাশ্চাত্যবাদ কথা বলছে | মুসা আল হাফিজ | প্রয়াস প্রকাশন
১৫/ জ্বিন | শাহেদ শরিফ রাতুল | বইকেন্দ্র প্রকাশন
১৬/ পৃথিবীর সব সুর থেমে গেলে পর | বিনিয়ামীন পিয়াস | সতীর্থ প্রকাশন
১৭/ তাতারিদের ইতিহাস | ড. রাগিব সারজানি | মাকতাবাতুল হাসান
১৮/ প্রাচ্যবাদ | ড. শহীদুল ইসলাম ফারুকী | প্রয়াস প্রকাশন
১৯/ শব্দফুলের মালা | গল্প সংকলন | ইবরাত পাবলিকেশন
২০/ তাদের বাড়ি সুখ পাহাড়ে | মুস্তাফিজ ইবনে আনির | ফিলহাল প্রকাশন
২১/ কুররাতু আইয়ুন | শামসুল আরেফীন শক্তি | মাকতাবাতুল আসলাফ
২২/ অলসতার বিরুদ্ধে লড়াই | মাহমুদ বিন নুর | রাইয়ান প্রকাশন
২৩/ নফসের বিরুদ্ধে লড়াই | মাহমুদ বিন নুর | রাইয়ান প্রকাশন
২৪/ আপন আশ্রয় | আব্দুল্লাহ আল মামুন | হসন্ত প্রকাশন
২৫/ সিরাতের ছায়ায় | আব্দুল্লাহ আল মামুন | প্রয়াস প্রকাশন
২৬/ জীবনের ভাঁজে ভাঁজে | এনামুল হক ইবনে ইউসুফ | হসন্ত প্রকাশন
২৭/ শূন্যস্থান | এনামুল হক ইবনে ইউসুফ | মুহাম্মাদ পাবলিকেশন
২৮/ মুঠো মুঠো রোদ্দুর | এনামুল হক ইবনে ইউসুফ | হসন্ত প্রকাশন
২৯/ মেঘের কোলে রোদ | এনামুল হক ইবনে ইউসুফ | রাইয়ান প্রকাশন
৩০/ নয়া বউ | মনজুর সা'দ | প্রয়াস প্রকাশন
৩১/ সভ্যতার শেষ স্টেশন | সালমা জাহান সনিয়া | প্রিয় বাংলা প্রকাশন
৩২/ প্রজ্জ্বলিত আঁধার | রাকিবুল হাসান লুসেন্ট
৩৩/ এক ফালি দীর্ঘশ্বাস | সাবিকুন নাহার নুরাসা | সাহিত্যপিডিয়া
৩৪/ কাব্য মায়া | আহমেদ রাসেল | স্বরবর্ণ প্রকাশন
৩৫/ রিপ্লেস ইয়োর হার্ট | মোহাম্মাদ আশিক

Comments

Popular posts from this blog

নাজিম উদ দৌলার প্রহেলিকা । Prohelika by Nazim ud doula

  লেখক নাজিম উদ দৌলার সাথে জার্নি শুরু করেছি তার লিখিত "প্রহেলিকা" উপন্যাসিকাটির মাধ্যমে৷ পড়া শেষ৷ একটি থ্রিলার মৌলিক উপন্যাসিকা৷ শহরে বাচ্চাদের লাশ পাওয়া যাচ্ছে। প্রত্যেকের মাথা ইট অথবা পাথর দিয়ে থেতলে দেয়া৷ অবাক করার বিষয় প্রতিটা লাশের পাশেই পাওয়া যাচ্ছে খুনির ব্যবহৃত জিনিসপত্র৷ খুনি কী তবে এতই বোকা? নাকি এর পেছনে আছে অন্য কোনো ঘটনা? থ্রিলার গল্পের মাঝেও লেখক প্রেমের ঘটনা কানেক্ট করেছেন৷ চরিত্রগুলোকে করেছেন সাবলীল। এছাড়া মূল আসামীর আসামী হয়ে ওঠার গল্পও তুলে ধরেছেন লজিকালি। বাঙালি গোয়েন্দা যেভাবে কথা বলে, ঠিক সেভাবেই কথা বলিয়েছেন তিনি। ফ্ল্যাশব্যাকের সাথে গল্পের কানেকশন ভালোই। তবে একটা বিষয় একটু অবাস্তব লেগেছিলো। কাহিনীর টুইস্টগুলো ভালো৷ মজাদার। সাসপেন্সওয়ালা টুইস্ট না হলেও, টুইস্টগুলো মজাদার৷ একেক চরিত্র, একেক বিশেষত্ব, একেক কাহিনী। পুরোটাকে একটা ডটে এনে মিশিয়েছেন নাজিম উদ দৌলা। আর সে ডটটি হলো "ভালোবাসা।" মূল আসামীকে ধরার অনেক আগেই বুঝে যাওয়া যায় আসামীকে। কয়েক লাইনের কথোপকথনে একটু ভালোমতো খেয়াল করলেই বোঝা যায়৷ এছাড়া সেখানে খুনীর একটা দূর্বলতার কথা অনেক বলে দেয়া...

পুফি । হুমায়ূন আহমেদ

বইটা কেনার আগে নাম তেমন শুনিনি। সত্য বলতে খুঁজিও-নি। হুমায়ূন আহমেদের কিছু যেমন আকাশ ছোঁয়া জনপ্রিয়তা পেয়েছে, তেমনি কিছু বই আবার আন্ডাররেটেড৷ অবশ্য হুমায়ূন আহমেদ যতগুলো বই লিখেছেন সবগুলো পড়ে মতামত জানানো হয়তো সকলের জন্য সম্ভব না৷ তাই কিছু বই থেকে যায় আড়ালে। "পুফি" বইটি ঠিক তেমন একটি বই। প্রচ্ছদ আর নাম দেখে ভেবেছিলাম শিশুতোষ কোনো উপন্যাস৷ বইয়ের ভেতরে নিজের নাম লিখে রেখেছে মুনতাকা। বাচ্চাসুলভ হাতের লেখা। তাই আমি শতভাগ নিশ্চিত হয়ে গেলাম বইটা শিশুতোষই। এরপর বই পড়া শুরু। শুরুতেই হুমায়ূন আহমেদের সতর্ক বার্তায় চোখ গেলো। সেখানে যা লেখা তার সারাংশ হলো, "বইটি বাচ্চাদের থেকে একশ' হাত দূরে রাখুন। এটা বাচ্চাদের বই না৷ বইয়ের কভার দেখেই বাচ্চাদের বই ভেবেছেন৷ আপনি আসলে মগা৷ কারন আপনি হুমায়ূনের দেয়া নামকে আক্ষরিক অর্থেই বিশ্বাস করেন।" গল্পটা একটা বিড়ালকে নিয়ে। তার নাম "পুফি"৷ এই পুফিকে উপহার হিসেবে পায় অনিকা৷ তার খুব পছন্দ এই বিড়াল। বিড়ালটাও বেশ সভ্য। অনিকার বাবার নাম জোয়ার্দার। জোয়ার্দারের বিড়াল অপছন্দ৷ শুধু বিড়াল না, যেকোনো পশু-পাখি তার অপছন্দ৷ কারন তিনি যখন ছোট তখন এক...

কবি ও বাস্তবতা

 মানুষ ব্লগে কী লেখে আমি তা জানিনা । জানার কথাও না । ব্লগ খোলার কারন একটা সিভিতে ওয়েবসাইটের লিংক দিতে হবে এজন্য ।  ব্লগকে অনেকটা ডায়েরির মতো লাগে । ওপেন ডায়েরি । যে ডায়েরি বাইরে পরে থাকলেও কেউ খুলে দেখে না । অথচ হুট করে এক কৌতুহলী কেউ ডায়েরিটা হাতে নেয় । নিয়ে পড়ে । কী কী লেখা তা দেখে বোঝার চেষ্টা করে । কখনো দুঃখে ডুবে যায় , আবার কখনো অট্টহাসিতে মেতে ওঠে । এরপর লেখকের সম্পর্কে একটা ধারণা জন্ম নেয় তার মাঝে । কিছুসময় পাঠক রচয়িতাকে ভাবতে থাকে । এরপর ধীরে ধীরে ভুলে যেতে থাকে । একসময় তিনি ভুলে যান ডায়েরির কথা । ডায়েরিটা আবারও পূর্বের মতো পড়ে থাকে । তাকে কেউ আর খুলে না । ধুলোবালি জমে। প্রতিটা মানুষের জীবনে নানা রকম গল্প থাকে । আমারও আছে । সে গল্প আমি চাইলে লিখে রাখতে পারি এখানে । অথবা কিছু দুঃখের কথা লিখতে পারি । লিখতে পারি কতটুকু স্মৃতির বোঝা নিয়ে এখনো জীবিত আমি । কষ্টের কথাগুলোকে লিখে রাখতে পারি এখানে । কিন্তু তাতে লাভ কী? একজন মানুষ আমার দুঃখের কথাগুলো পড়বে এটা কেমন না? দুঃখের কথা শোনার অধিকার শুধুমাত্র প্রিয়তমার । এ বাদে আর কেউ এই কথা পড়ার মানে নিজের কোনো মূল্য না রাখা । আমার কবি...