আমার কেন যেন মনে হয় কবিরা দুঃখ পোষেন । তাদের ভীষণ যন্ত্রণা হয় । এই যন্ত্রণা এতটাই তীব্র যে তারা আর্তনাদের ভাষা হিসেবে কবিতাকে ব্যবহার করেন । এর জ্বলন্ত উদাহরণ প্রয়াত কবি হেলাল হাফিজ । হেলেনকে হারিয়ে বেচারা হাফিজ কবিতা লিখতে শুরু করেন । কবিতার মাঝে আর্তনাদ এতই তীব্র ছিলো যে তাতে হেলেন অবধি আক্রান্ত হন ।
কবিরা যখন কবিতা লেখে তখন বোধহয় তাদের স্মৃতির পাতার কোনো এক গল্প তাদের মনে পড়ে । যে গল্প তাদের অন্তরকে আক্রান্ত করে । দাবানল হয়ে ঝলসে দেয় তাদের হৃদয় । এসব মনে হলেই তাদের চোখ ছলছল করে ওঠে । কখনো হয়তো মন চায় ফুপিয়ে কান্না করতে । কিন্তু তা সম্ভব হয় না । তাই দুঃখগুলোকে মিশিয়ে ফেলেন শব্দে ,বাক্যে । এরপর রচনা করেন কবিতা । যে কবিতা ছেয়ে যায় পাঠকের মনে । যে বিষাদ আক্রান্ত করে কবিতা প্রেমীকে ।
আমার মনে হয় কবিরা যে সুখি ভাব ধরেন তা মিথ্যে । তারা হয়তো বোঝানোর চেষ্টা করে যে , দেখো আমি সুখি । বাস্তবে তারা খুব দু;খী । যতটা দুঃখী হয় নীল তিমি ।
লেখক নাজিম উদ দৌলার সাথে জার্নি শুরু করেছি তার লিখিত "প্রহেলিকা" উপন্যাসিকাটির মাধ্যমে৷ পড়া শেষ৷ একটি থ্রিলার মৌলিক উপন্যাসিকা৷ শহরে বাচ্চাদের লাশ পাওয়া যাচ্ছে। প্রত্যেকের মাথা ইট অথবা পাথর দিয়ে থেতলে দেয়া৷ অবাক করার বিষয় প্রতিটা লাশের পাশেই পাওয়া যাচ্ছে খুনির ব্যবহৃত জিনিসপত্র৷ খুনি কী তবে এতই বোকা? নাকি এর পেছনে আছে অন্য কোনো ঘটনা? থ্রিলার গল্পের মাঝেও লেখক প্রেমের ঘটনা কানেক্ট করেছেন৷ চরিত্রগুলোকে করেছেন সাবলীল। এছাড়া মূল আসামীর আসামী হয়ে ওঠার গল্পও তুলে ধরেছেন লজিকালি। বাঙালি গোয়েন্দা যেভাবে কথা বলে, ঠিক সেভাবেই কথা বলিয়েছেন তিনি। ফ্ল্যাশব্যাকের সাথে গল্পের কানেকশন ভালোই। তবে একটা বিষয় একটু অবাস্তব লেগেছিলো। কাহিনীর টুইস্টগুলো ভালো৷ মজাদার। সাসপেন্সওয়ালা টুইস্ট না হলেও, টুইস্টগুলো মজাদার৷ একেক চরিত্র, একেক বিশেষত্ব, একেক কাহিনী। পুরোটাকে একটা ডটে এনে মিশিয়েছেন নাজিম উদ দৌলা। আর সে ডটটি হলো "ভালোবাসা।" মূল আসামীকে ধরার অনেক আগেই বুঝে যাওয়া যায় আসামীকে। কয়েক লাইনের কথোপকথনে একটু ভালোমতো খেয়াল করলেই বোঝা যায়৷ এছাড়া সেখানে খুনীর একটা দূর্বলতার কথা অনেক বলে দেয়া...
Comments
Post a Comment