"কেউ যা দেয় না, তুমি তা দেবে কেন?"
এখানে শিক্ষার্থীদের দোষ দিয়েও লাভ নেই। গল্পটার আংশিক ছিলো সে বইয়ে৷ মূলটুকুই দেয়া হয়েছিলো বাদ৷ ফলে মমতাদি ঠিক কেমন তা বুঝে ওঠা হয়নি কারোরই৷ তবে ক্লাসে জানা হয়নি বলে আর জানা হবে না, তা কিন্তু নয়। বেনজিন প্রকাশন কর্তৃক প্রকাশিত "মমতাদি" বইটি পড়লেই জানা যায় কে এই মমতাদি৷
বইটিতে স্থান পেয়েছে দুইটি গল্প৷ একটি "মমতাদি" এবং অপরটি "বৃহত্তর মহত্তর।" মমতাদির দু:খের জীবন যাপনের বিষয়টি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে প্রথম গল্পে৷ যেনো গ্রাম বাংলার সংসারের নিত্যদিনের রূপ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় চিত্রায়িত করেছেন রঙ-তুলিতে। এত দূর্দশা অত্যাচারের পরেও স্বামীর প্রতি ভালোবাসার কথা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই গল্পে৷
"বৃহত্তর মহত্তর" গল্পে আবার একই মমতাদির ভিন্ন রূপ দেখতে পাওয়া যায়। দেশপ্রেমের জন্য নিজের সংসারকেই বিসর্জন দিয়েছেন তিনি। দোষ নিতে চেয়েছেন নিজের ঘাড়ে। প্রায়েশ্চিত্ত করার জন্য লেগে পড়েছেন দেশের কাজে। তবে সন্ধ্যে নামলেই যেনো সংসারের কথা মনে পড়ে মমতাদির। মনে পড়ে মাতাল স্বামীর কথা৷ ১১ বছরের সংসার করেছে, এত সহজে ভোলা যায়৷ মমতাদির একটি কথাই বুঝিয়ে দেয় স্বামীর প্রতি তার অদ্ভুত ভালোবাসা কাজ করে। ভালোবাসার সংজ্ঞাও বলা যায় কথাটিকে৷ যখন তাকে জিজ্ঞেস করলো স্বামীকে ভালোবাসো? তখন সে উত্তরে বললো, " ভালোবাসা? প্রেম? কী জানি ভাই, ও সব বুঝি না। এইটুকু বুঝি যে না দেখলে মন কেমন করে, খবর জানতে ইচ্ছা হয়৷ এগারো বছর যার ঘর করা যায় তার হীনতা বোধ হয় স্নেহমমতাকে ঠেকিয়ে রাখতে পারে না৷"
Comments
Post a Comment