দ্য গার্ল হু লেপ্ট থ্রু টাইম - ইয়াশুতাকা শুতশুই । The Girl Who Leapt Through Time by Yasutaka Tsutsui [ Toki Wo Kakeru Shoujo ]
পৃষ্ঠা নং ০৫, অনুবাদকের কথায় অনুবাদ বলেছেন বইটির ক্যাটাগরি থ্রিলার৷ থ্রিলার তার পছন্দের জনরা৷ তবে মজার ব্যাপার হলো বইটার জনরা থ্রিলার না৷ বরং সাইফাই৷ সাইফাই থ্রিলার বললেও কিছুটা মানা যেতো৷ শুধু থ্রিলার দ্বারা যা বোঝায়, আদতে এই বই তেমন নয়৷ এই বইকে রোম্যান্টিক বললেও মানা যায়৷ তবে থ্রিলার কোনো ক্রমেই মানা যায় না৷
গল্পটা কাজুকোর৷ একটা মেয়ে৷ একদিন স্কুলের লাইব্রেরিতে একটা ছায়া দেখতে পায়৷ কালো ছায়াটির পিছু নিয়ে সামনে এগোয়। হঠাৎ ল্যাভেন্ডারের ঘ্রাণ পায়। এরপর থেকেই অদ্ভুত সব কাণ্ড ঘটে। আচমকা অনুধাবন করতে পারে সে একদিন পেছনে ফিরে গিয়েছে। যা কিছু ঘটবে তা সে আগে থেকেই জানে৷ অর্থাৎ সে বর্তমান থেকে একদিন পেছনে টাইম ট্রাভেলের মতো করেছে৷ সে ভাবলো এটা মনে হয় তার মাঝে থাকা কোনো বিশেষ শক্তি। তবে আদতে কি তাই? উহু! তাহলে? কালো ছায়াটি কী? সে যাদেরকে বন্ধু ভাবছে তারা কি আসলেই বন্ধু? ল্যাভেন্ডারের ঘ্রাণই বা এলো কী করে? জানতে হলে পড়তে হবে৷
অনুবাদের বিরক্তিকর দিক ছিলো হেডলাইন অনুবাদ। পরিমার্জন করে হেডলাইন না দিলে আরও সুখকর হতো৷ অথবা ইংরেজি হেডলাইনও দেয়া যেতো এক্ষেত্রে৷ অন্তত হেডলাইনগুলো এখনকার মতো বিদঘুটে লাগতো না।
অনুবাদ সাবলীল হয়েছে। সম্পাদনা করালে আরও সুন্দর হতো বলে আশাবাদী৷ সম্ভবত লাইন এডিটিং হয়নি বইটিতে৷ তবে এতে গল্পে ডুবে যেতে কোনো ঝামেলাই হয় না৷ তাই বলে বইটিতে ঝামেলা নেই, তা বলা যাবে না৷ বেশ বড়ো ঝামেলার মতো ঝামেলা ধরতে পেরেছি বলে মনে হয়েছে।
৬২ পৃষ্ঠায় এসে কাজুকোর গল্প শেষ। গল্প শেষ করে হৃদয় যখন ভারাক্রান্ত তখন দেখি গল্প আরও বাকি। কেননা বইটির মোট পৃষ্ঠা ৯৬! এই অতিরিক্ত ৩৪ পৃষ্ঠায় সম্পূর্ণ ভিন্ন এক গল্প। যার সাথে আমি প্রথম ৬২ পৃষ্ঠার কোনো মিলই খুঁজে পাইনি৷ জানিনা মূল বইয়ে ছিলো কিনা এই গল্প। থাকতেও পারে৷ তবে গল্পটা মন্দ না৷ কিন্তু মূল বইয়ে না থাকলে এই সংযোজন নিন্দনীয়।
বইটা উপভোগ্য। সায়েন্স ফিকশনের গল্পে আবেগ মিশিয়ে লিখেছেন ইয়াশুতাকা শুতশুই। কখনো অবাক হবেন আবার কখনো আবেগের টান অনুভব করবেন৷ বইটা যদিও ১২-১৫ বছর বয়সীদের জন্য তবে বড়োদের পড়তেও কোনো ঝামেলা হবে বলে মনে হয় না৷ সায়েন্স ফিকশানের পুরো ফিল বড়োরা না পেলেও অনুভূতিতে একটা দোল খাবে এতটুকু নিশ্চিত৷
Comments
Post a Comment