Skip to main content

Posts

Showing posts from April, 2025

a death in tokyo । এ ডেথ ইন টোকিও

কিয়োচিরো কাগার সাথে একটা কেইস সলভিং জার্নিতে ছিলাম। মাতসুমিয়াও ছিলো সাথে৷ টোকিওতে একজনের খুন হয়েছে৷ কে করলো সেই খুন। কেনো করলো তা বের করতেই টোটো করা টোকিওর অলিগলিতে৷ কেইগো হিগাশিনোর বর্ণনাগুলো খুবই চমৎকার৷ কোনো চরিত্রকে ওভারহাইপও করেন নাই, আবার নিচেও নামিয়ে দেন নাই৷ এখন অবধি যতটুকু গোয়েন্দা রিলেটেড লেখা পড়া হয়েছে সেখানে মূল ডিটেকটিভরা থাকেন মাল্টিট্যালেন্টেড কেউ। তথ্য সংগ্রহ থেকে শুরু করে যাবতীয় সবকিছু একাই করেন৷ কিন্তু কেইগোর গল্পে ডিটেকটিভ থাকেন অনেকজন। তার মধ্যে কাগা একজন। বাকিদের থেকে তার আলাদা অভিজ্ঞতা এবং চিন্তাধারা কিছুটা শার্প। তার থেকেও মূল বিষয় কাগা তদন্তের শেষ প্রান্ত অবধি যেতে চান। এছাড়া কাগা মূল চরিত্র হওয়া সত্ত্বেও তার এন্ট্রি হয় খুবই ঠান্ডা ভাবে। নি:শব্দে বলা চলে। এরপরই ধীরে ধীরে এগিয়ে যায় গল্প। মাতসুমিয়াও হেল্প করে অনেক। যখনই মনে করা হয় ইনিই বুঝি খুনি, তখনই দুইটা বিষয় ঘটে৷ হয় নতুন কোনো ক্লু বের হয়, নাহলে কোনো একটা ক্লু মিসিং৷ এরপর গল্প ও সন্দেহ অন্য দিকে যায়৷ আবার সেইম রিপিটেশন৷ কিন্তু শেষ অবধি গল্প এমন জায়গায় গিয়ে শেষ হয়, সেটা আমার মতো নবীন থ্রিলার পড়ুয়া কেউ ধরতে পারব...

মোহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

কবিতার বই এমনিতেই পছন্দের৷ তার মধ্যে এমন চমৎকার প্রচ্ছদ আর বিষয়বস্তুতে যদি থাকেন মহামানব তবে বই নেয়ার আগে দ্বিতীয়বার ভাবার প্রয়োজন হয় না৷ নিজ সংগ্রহে লুফে নেয়া যায় বিনা চিন্তায়। অবশ্য এটা আমার সংগ্রহের না৷ ঐতিহ্য থেকে ধার নিয়েছি৷ পড়ে আবার ফেরত দেবো৷ হাসান রোবায়েতের কবিতা আগেও পড়েছি৷ ভালো লেগেছিলো৷ রিভিউও করেছিলাম৷ রাসুল (সা) কে নিয়ে কী লিখেছেন জানার ইচ্ছা থেকেই বইটা ধার নিয়েছি। আশা করি ভালো সময় কাটবে৷ বই - মোহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম লিখেছেন - হাসান রোবায়েত প্রকাশনা - ঐতিহ্য

উপহার

আমার জন্মদিনের আর মাত্র চারদিন বাকি তখন৷ "শিরোনাম প্রকাশনী" র একটা অফার শুরু হলো৷ কাগা সিরিজ ৫০% ডিসকাউন্টে৷ নেয়ার শখ হলো৷ তবে অর্থ ছাড়া শখ পূরণ হয় না। পকেট ফাঁকা ছিলো তখন। বন্ধুর পকেটের টাকা খসিয়ে দু'কাপ চা পান করার অওকাত ছিলো শুধু৷ এর বেশি কিছু না৷ মজার ছলে অফারের স্টোরি দিয়ে লিখেছিলাম, "কেউ চাইলে উপহার দিতে পারেন। সামনে আমার জন্মদিন।" স্বভাবতই হাহা'য় ভরে যায় স্টোরি। আমিও মজা নিতে থাকি৷ এরপর রিলস দেখে রাতে ঘুমাতে যাই৷ সে রাতে স্বপ্ন দেখেছিলাম কিনা মনে নেই৷ দু'দিন পর মোবাইলের নোটিফিকেশন বেজে উঠলো৷ আমি জানি ও-মেসেজে কোনো সিম কম্পানির অফারের কথা। তাই মেসেজ দেখিনি৷ একটুপর রিং বেজে উঠলো৷ দুলাভাই কল করেছেন৷ উনি সাধারণত কল করেন না৷ তাই জরুরি ভেবে কল রিসিভ করলাম৷ তিনি বললেন, - টাকা পাঠাইছি৷ গেইছে? - কিসির টাকা? - তোর জন্মদিনির জন্যি পাটাইছি। কি এট্টা বই কিনবি কলি৷ তাই। - আমিতো ঐতা মজা কইরে কইয়্যিছি৷ - তাতে কী? তুই বইটই পড়িস তাই তোরে দিলাম। আমি বাদে আমার আশপাশের কেউ বই পড়ে না৷ বই কিনলে উলটো খেতে হতো ঝাড়ি৷ সেখানে দুলাভাই হুট করে টাকা পাঠাবেন বই কেনার জন্যে ভাবত...

সিনথিয়ার হারানো বই

  ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৩। একটি মেয়ে বইমেলা প্রাঙ্গণে এলো। মেয়েটির নাম সম্ভবত সিনথিয়া৷ মেয়েটি দেখতে কেমন আমি জানিনা। সেদিন তার পরনে কী ছিলো তা-ও জানিনা৷ অনুমান করি তার পরনে ছিলো নীল রঙা শাড়ি। ঠান্ডা কিসিমের দূরন্ত মেয়েটি পুরো মেলা টো টো করে ঘুরছে৷ শতশত বই দেখছে৷ অথচ তার মনে জায়গা করে আছে একজন লেখকের নাম। হুমায়ূন আহমেদ৷ খুঁজতে খুঁজতে দৃষ্টি আটকালো ধ্রুব এষের আঁকা নীল রঙা প্রচ্ছদে৷ বইয়ের কথা সাজিয়েছেন তার প্রিয় হুমায়ূন আহমেদ। সিনথিয়া বইটি নেড়েচেড়ে দেখলো৷ এপাশ-ওপাশ৷ সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে দামটিও দেখে নিলো৷ হ্যাঁ, কেনা যায়৷ তবে হুমায়ূন আহমেদের অটোগ্রাফ পেলে খুশি হতো সে৷ না পাওয়াতেও আক্ষেপ নেই৷ প্রিয় লেখকের আঁকা গল্পে চোখ জুড়াবে, হৃদয় প্রশান্ত হবে৷ এটাই-বা কম কী! বইটি কিনে খুশি মনে সিনথিয়া ঘরে ফিরলো। কাঠ পেন্সিলের কালিতে নিজের নাম লিখে রাখলো বইয়ের কোণায়৷ Sinthiya 28-2-003 এরপরে কী হয় জানিনা৷ সেদিন ছিলো শুক্রবার। ইসলামী বইমেলা ২০২৪। বায়তুল মোকাররম থেকে বের হলাম। উদ্দেশ্য হুমায়ূন আহমেদের কিছু পুরোনো বই সংগ্রহ করবো৷ পুরোনো বই সংগ্রহের ফজিলত হলো এতে আবেগ মিশে থাকে, ভালোবাসা মিশে থাকে৷ মিশে থাকা ন...

যে বই ফুটপাতে

  ❝ Happy Birthday!! Moon k Priony U know babe I love U..... Ummmahh! ❤️ .... 08/11/2014 ❞ আট নভেম্বর, দু'হাজার চৌদ্দ। শনিবার৷ খুব যত্ন করে নিজের বুকশেল্ফ থেকে প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদের একটি বই বের করলো প্রিয়ন্তী৷ বইটির দিকে অপলক তাকিয়ে থেকে একবার হাত বুলিয়ে নিলো সে৷ বইটা খুব শখ করে কিনেছিলো সে৷ এতকাল ধরে বইটা যত্নে ছিলো তার কাছে৷ তবে আজ তার গন্তব্য অন্য কোথাও৷ প্রিয় মানুষকে উপহার হিসেবে দিতে হয় নিজের প্রিয় কিছু৷ প্রিয়ন্তীর প্রিয় বলতে যা বোঝে, তা মূলত বই৷ বইয়ের থেকে ভালো সঙ্গী আর কেউ হয়? তবুও মানুষদের মধ্য থেকে কেউকেউ প্রিয় হয়ে যায়৷ তেমনই একজন মুন। মুনই একমাত্র যার কাছে সুখ-দু:খের আলাপ মন খুলে করতে পারে প্রিয়ন্তী৷ প্রিয়ন্তীর প্রায় অংশ হয়ে গিয়েছে মেয়েটা৷ এই দুষ্টু, দুরন্ত মেয়েটার জন্মদিন ছিলো সেদিন৷ তাই নিজের পছন্দের বই উপহার দেবে বলে ভাবে প্রিয়ন্তী। যেই ভাবা সেই কাজ। বইটা নিয়ে টেবিলে বসে আছে প্রিয়ন্তী৷ কী লিখবে? কিছুই মাথায় আসছে না৷ অবশ্য মনে মনে ভাবছে অনেককিছুই৷ বলতেও মন চাচ্ছে অনেক কিছু৷ কিন্তু মনের অনুভূতি কখনো কখনো ভাষায় প্রকাশ করা যায় না৷ প্রিয়ন্তীও পারলো না৷ তবে একেবারে কোনো...